Programming Hero


কমপ্লিট ওয়েব ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন ২০২৪

Published August 2, 2023
Complete Web Development Guideline 2024

photo source: pexel

আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি তারা নিশ্চয় ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানি। মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে আমরা যেসব ওয়েবসাইট ব্রাউজ করি সবই তৈরি হয়েছে ওয়েব ডেভেলপারদের মাধ্যমে। ওয়েবসাইটগুলো বর্তমানে ব্যবসার জন্য একটি অপরিহার্য হাতিয়ার:পণ্য এবং পরিষেবাগুলি প্রচার এবং বিক্রি করা, ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরি, ব্লগ সাইট এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই এ কারনে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট বিশ্বে একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন কেন প্রয়োজন?

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য গাইডলাইন প্রয়োজন কারণ এটি স্টুডেন্টদের একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ অনুসরণ করে দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করে। যেহেতু ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার অনেক বিকল্প প্রোগ্রামিং ভাষা এবং রিসোর্স রয়েছে এই কারনে অনেকেই অনেক লম্বা সময় ধরে সময় দেয়ার পরেও কিছুই শিখে উঠতে পারেন না তাই শেখার পূর্বে একটা গাইডলাইন প্রয়োজন। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্যে শেখার প্রতি ফোকাস ও টাইম মেইন্টেইন করে ভালো একজন ডেভেলপার হতে সহায়তা করে।

ওয়েব ডেভলপারের ক্যাটাগরীঃ

ওয়েব সাইটের ধরন:

ওয়েব সাইট মূলত ২ ধরনের হয়ে থাকে – স্ট্যাটিক এবং ডাইনামিক। আমাদের যেসব ওয়েব পেজের কোন কিছু সংযুক্ত, সম্পাদনা বা বাতিল করতে মূল কোডের পরিবর্তন করতে হয় সেগুলো Static Website. আবার যেসব ওয়েব পেজের কোন কিছু সংযুক্ত, সম্পাদনা বা বাতিল করতে মূল কোডের পরিবর্তন করতে হয় না তাকে Dynamic Website বলে। যেমন ফেসবুকের কথাই ধরুন, আমরা চাইলে আমাদের প্রোফাইল, যেকোন পোস্ট Edit, Delete ইত্যাদি করতে পারি। মূলত এই ওয়েব সাইটটি ডাইনামিক হওয়াতে আমরা তা করতে পারছি।

ওয়েব ডেভলপারের ধরনঃ

তুমি যদি ওয়েব ডেভেলপার হতে চাও, তাহলে আমি প্রথমত প্রশ্ন করবো তুমি ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপার হবে না ব্যাক এন্ড ডেভেলপার কিংবা ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার হবে? এখন তোমার মনে প্রশ্ন আসতে পারে ফ্রন্ট এন্ড আর ব্যাক এন্ড অথবা ফুলস্ট্যাক আবার কি জিনিস

ফ্রন্ট ইন্ড ওয়েব ডেভলপারঃ

সাধারণত আমরা বিভিন্ন যে ওয়েব সাইট ব্রাউজ করি।ওয়েব সাইট ব্যবহারের সময় যে অংশ গুলো ব্যবহার কারী দেখতে পায়, মূলত সেটাই ফ্রন্ট এন্ড আর এই টেকনোলজি নিয়ে যারা কাজ করে তারাই ফ্রন্টেন্ড ডেভেলপার।

ব্যাক ইন্ড ওয়েব ডেভলপারঃ

ওয়েব সাইটে বিভিন্ন কাজ অটোমেটিক হয় , আমরা দু চার টা ক্লিক করলে মুহুর্তে ফলাফল প্রদর্শিত হয় । এই রেজাল্ট প্রদর্শিত হবার পিছনে যে এই সিস্টেমটা ডেভেলপ করেছেন তিনি কিছু কমান্ড লিখে রেখেছেন । মূলত ব্যাক ইন্ড এ যা ঘটে তা ব্যবহারকারী গণ দেখতে পায় না ।

ফুল স্ট্যাক ডেভলপারঃ যিনি এই দুটি বিষয় একাই ম্যানেজ করে থাকেন তিনিই ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার।

ওয়েব ডেভলাপার হতে হলে যা যা থাকতে হবে এবং শিখতে হবে ওয়েব ডেভলপমেন্ট শেখা আজ শুরু করলাম ২ দুই দিনে শেষ। এমন কিছু না। এটি শেখা সময় সাপেক্ষ ব্যপার। তবে অসাধ্য কিছুই না। সময় নিয়ে বেশি বেশি প্রাক্টিস করার মাধ্যমে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার।

একজন ডেভলপার হতে হলে কি কি জানতে হবে?

web developer requirment

শেখা এবং প্রাক্টিসের জন্য আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকতে হবে। কাজ করতে বসলেন ঐ সময় কোন চুমকির মেসেজে আপনার ফোনটি টুং করে উঠল আর আপনি মেসেঞ্জারে ব্যাস্ত হয়ে গেলেন বা পাশের বাড়ীর ভাবির বিড়াল ছানাকে দেখতে গেলেন। তাহলে হবে না ভাই। আপনাকে লেগে থাকতে হবে। দৈনিক ৬/৮ ঘন্টা কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে।

আপনার ইচ্ছা ও সময় যদি থাকে তাহলে আজ থেকেই লেগে পড়ুন ওয়েব ডেভলপার হবার মিশনে। এই মিশনে আপনার প্রথম কাজ হবে গুগল মামা ও ইউটিউব এ সার্চ করে দেখুন এবং ওয়েব ডেভলপমেন্ট সম্পর্কে বিশদ ধারনা অর্জন করুন। এই সব করার পর যদি আপনার কোডিং এর প্রতি ভালোবাসা জন্মায় তাহলে আপনি ঝাপিয়ে পড়ুন।

এখন কথা হচ্ছে ঝাপিয়ে তো পড়লাম এখন কিভাবে শিখবো বা কি শিখবো? আপনার মনে এই প্রশ্নটি আসতেই পারে। আমি বলবো আপনি নিচের বিষয় গুলো সিরিয়াল অনুযায়ী শেখা শুরু করে দিন

এইচটিএমএল ও সিএসএস

প্রথমেই এইচটিএমএল এবং সিএসএস এর মত মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ গুলো ভাজা ভাজা করে শিখে ফেলতে হবে। এগুলো প্র্যাকটিস করার পরে মিনিমাম ৫-৭টা প্রজেক্ট করতে হবে।

গিট ও গিটহাব

গিট হচ্ছে ওপেন-সোর্স সফটওয়্যারগুলোর জন্য একটি ভার্সন কনট্রোল সিস্টেম এর মাধ্যম। প্রজেক্টের নতুন ফিচারস যোগ করার জন্য প্রতি নিয়ত সোর্স কোড চেঞ্জ করার দরকার পড়বে তাই গিট সম্পর্কে শুরুতেই ধারনা নিতে হবে সাথে গিটহাব সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে লাইভ হোস্ট করার জন্য।

সিএসএস ফ্রেমওয়ার্ক

এইচটিএমএল-সিএসএস এর ৫-৭টা ওয়েবসাইটের প্রজেক্ট গুলোকে রেস্পন্সিভ করতে হবে প্রথমে সিএসএস মিডিয়া কোয়েরি দ্বারা। এরপর টুইটার বুটস্ট্রাপ ফ্রেমওয়ার্ক কিংবা টেইলউইন্ড সিএসস যেটা দিয়ে প্রফেশনালি রেস্পন্সিভ করা শিখে ফেলতে হবে।

জাভাস্ক্রিপ্ট

রেস্পন্সিভ শেখার পর আমরা একটু প্রোগ্রামিং শুরু করবো জাভাস্ক্রিপ্ট ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে। জাভাস্ক্রিপ্টের বেসিক কনসেপ্ট গুলো খুব সুন্দর করে বুঝে নিতে হবে। জাভাস্ক্রিপ্ট মূলত ওয়েবসাইটের ফাংশনালিটি নিয়ে কাজ করে তাই এগুলো দিয়ে ছোট, ছোট, ছোট প্রজেক্ট করতে হবে। অতঃপর জাভাস্ক্রিপ্টের ES6 ও অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং কনসেপ্টগুলো বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এখানেও ৫-৭টি প্রজেক্ট করার চেষ্টা করতে হবে

জাভাস্ক্রিপ্ট ফ্রেমওয়ার্ক

ওয়েবফ্রেমওয়ার্ক হল এমন সফওয়ার বা অ্যাপ্লিকেশন যেটাতে এ সকল কমন বিষয়েগুলো বিল্টইন থাকে, তাই ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করলে একই কোড বার বার লিখতে হয়না, সময় এবং মাথার ঘাম দুটোই বেঁচে যায়! সাধারণত জাভাস্ক্রিপ্ট এর একটা ফ্রেমওয়ার্ক কিংবা লাইব্রেরী শিখে ফেলতে হবে। জনপ্রিয় কিছু লাইব্রেরী হলো react.js এবং vue.js । অপরদিকে জনপ্রিয় একটি ফ্রেমওয়ার্ক হল angular.js ।এগুলো দিয়ে সিঙ্গেল পেজ অ্যাপ্লিকেশন রিলেটেড পাঁচটা প্রজেক্ট করতে হবে।

এ ৫টি ধাপ শেষ হবার পরে কমপ্লিট করার পরে নিজেকে ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপার হিসেবে চাকরির কিংবা ইন্টার্ন এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিতে পারো।

ব্যাকেন্ড ডেভেলপমেন্ট

ব্যাক এন্ড ডেভেলপার হওয়ার জন্য প্রথমেই খুব সুন্দর করে একটা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে ফেলতে হবে। সেটা জাভাস্ক্রিপ্ট, পাইথন কিংবা পিএইচপি যেকোনো একটা হতে পারে। যেহেতু আগেই জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে শুরু হয়েছে তাই জাভাস্ক্রিপ্টের মাধ্যমে Server-side নিয়ে কাজ করা যায় এমন টেকনোলজি node.js শেখা যেতে পারে। এর সাথে ডাটাবেজ হিসেবে mongoDB বেছে নেওয়া যেতে পারে। ব্যাক এন্ড রিলেটেড পাঁচটি প্রজেক্ট করতে হবে।

ইন্টারভিউ প্রিপারেশন ও কমিউনিকেশন স্কিল

উপরের সব টপিক ঝালাই করে নেয়ার পরের স্টেপ হচ্ছে নিজেকে ইন্ডাস্ট্রিতে এন্ট্রি করার ধাপ এই ধাপে কম্পানী ডেভেলপারদের কিভাবে ইন্টারভিউ নেয়, তাদের রিকুয়ারমেন্ট কি কি, কাদেরকে রিচ করলে জবের ব্যাপারে নেটওয়ার্কিং করা যাবে ও কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি করতে হবে। মনে রাখতে হবে এতোদিন যাই শিখেছো তারসব কিছুই এখানে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই যাচাই করে নিবে তাই ইন্টারভিউতে নিজেকে সবসময় সেরা প্রিপারেশন নিয়েই বসতে হবে তাহলে কেবল তোমার সাফল্যের সূচনা হবে।

কোথায় থেকে শিখতে পারবে?

উপরের সব টপিক গুলো্র রিসোর্স এখন অনলাইনে পাবে তাই তুমি যদি নিযে নিজে শিখতে চাও তাহলেও শিখতে পারবে। এভাবে ৩-৪ মাস যাওয়ার পরে যদি কোনো ইম্প্রুভমেন্ট না আসে বা নিজে নিজে শিখতে প্রব্লেম ফেইস হয় তাহলে প্রোগ্রামিং হিরো কমপ্লিট ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স থেকেও শিখতে পারো

কম্পলিট ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স

কোর্স আউটলাইনে যা যা পাচ্ছেন:
  • ফুল কোর্স ৫-৬ মাসের কোর্স ও ১৩ টি এসাইনমেন্ট।
  • ৮০+ আপডেটেড মডিউল।
  • দিনে ৩ বেলা লাইভ সাপোর্ট সেশন
  • কোর্স শেষে জবপ্লেসমেন্ট সাপোর্ট ও ইন্টারভিউ গাইডলাইন