কেন জুনিয়র ডেভেলপারদের বেসিক স্ট্রং হয় না। আর এই বেসিক স্ট্রং করার উপায় কি?

কেন-জুনিয়র-ডেভেলপারদের-বেসিক-স্ট্রং-হয়-না
কেন-জুনিয়র-ডেভেলপারদের-বেসিক-স্ট্রং-হয়-না

কেন জুনিয়র ডেভেলপারদের বেসিক স্ট্রং হয় না। আর এই বেসিক স্ট্রং করার উপায় কি?
ChatGPT দিয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার কমপ্লিট গাইডলাইন
ওপেন সোর্স কন্ট্রিবিউশন কী! কিভাবে শুরু করবেন?
মার্ন স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার গাইডলাইন
কিভাবে নিখুঁত জীবনবৃত্তান্ত বা রিজিউমি লিখবেন।
ওয়েব ডেভলপমেন্ট – কম্পিলিট গাইড লাইন
বাংলায় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার কম্পলিট রিসোর্স।
মোবাইল এপস ডেভেলপমেন্ট – নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা শিখবেন।

কেন জুনিয়র ডেভেলপারদের বেসিক স্ট্রং হয় না। আর এই বেসিক স্ট্রং করার উপায় কি?


Author:

Samad

https://www.youtube.com/watch?v=uUZVgjVf3I8

কেন জুনিয়র ডেভেলপারদের বেসিক স্ট্রং হয় না। আর এই বেসিক স্ট্রং করার উপায় কি?
১. কোন রকমে টেনেটুনে টিউটোরিয়াল দেখতে পারলেই কেউ কেউ মনে করে বিশাল প্রোগ্রামার হয়ে গেছি। তারা সিনট্যাক্স মুখস্ত করতে পারলেই কিংবা টিউটোরিয়াল এ যা দেখানো হয়েছে সেটা দেখে দেখে টাইপ রতে পারলেই মনে করে: হেডম মার্কা ডেভেলপার হয়ে গেছি।
.
২. পোলাপানের ধৈর্য্য কম। সময় কম। এফোর্ট কম। ফোকাস কম। কষ্ট করার ইচ্ছা কম। কিন্তু তাড়াহুড়া বেশি। এক্সপেক্টেশন অনেক বেশি। ইন্সট্যান্ট গ্রাটিফিকেশন পাওয়ার আসক্তি অনেক বেশি। তাই তারা এনাফ CSS না শিখেই টেইলউইন্ড এ গিয়ে লেঁজ চুলকাতে চায়। কিংবা জাভাস্ক্রিপ্ট এর বেসিক ক্লিয়ার না করেই রিএক্ট-নেক্সট জেস শুরু করে দিতে চায়। তখন না পারে রিএক্ট ঠিকমতো বুঝতে। না পারে পিছনে গিয়ে জাভাস্ক্রিপ্ট এর বেসিক বা ফাউন্ডেশন ক্লিয়ার করতে।
.
৩. কেউ কেউ বেসিক যথেষ্ট পরিমাণে ক্লিয়ার না করেই প্রজেক্ট শুরু করে দেয়। কারণ প্রজেক্ট করতে মজা লাগে। অন্য দিকে ফান্ডামেন্টাল আর বেসিক জিনিসগুলো একটু কঠিন হয়। একটু বোরিং বা একটু কাঠখোট্টা টাইপের হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এগুলা পোলাপানের মজা কম লাগে। মাথার উপরে দিয়ে যাচ্ছে বলে চিল্লাচিল্লি করে। আর প্রজেক্ট এর রূপ-লাবণ্য, জীবন যৌবন, চকচকে ভিজুয়াল আউটপুট দেখে সেদিকে খাবি খায় আর বেসিক ক্লিয়ার করার ইচ্ছা আর আগ্রহ দুটাই মারা যায়।
.
৪. বেশিরভাগ পোলাপান শর্টকাট খোঁজে। ফাঁকিবাজির ছুতা খোঁজে। যেখানে দুইদিন-চারদিন বাড়তি সময় দেয়ার কথা। বাড়তি প্রাকটিস করার কথা। সেখানে দুইদিন-চারদিন হাবিজাবি করে নষ্ট করে কোন রকমে জোড়াতালি বা কপি-পেষ্ট করে। অথবা AI দিয়ে কোড জেনারেট করে পার পেতে চায়। অনেকটা পরীক্ষার আগের রাতে পড়ে পাশ করার টিচারকে বোকা বানানোর কথা চিন্তা করে নিজেকে হেব্বি স্মার্ট মনে করে। আসলে যে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছে সেটা বুঝতে পারে না। ফলে প্রোগ্রামিং এর ফাউন্ডেশন তো দূরের কথা। মোটামুটি মানের প্রোগ্রামারও হতে পারে না।
.
৫. অফিসিয়াল ডকুমেন্টেশন how to start দেখে মনে করে আমি ডকুমেন্টেশন এর বস হয়ে গেছি। কিংবা ডকুমেন্টেশন এ বিগিনারদের জন্য বেসিক যে অংশগুলো বলা আছে সেগুলাতে চোখ বুলিয়ে মনে করে ডকুমেন্টেশন পড়া শেষ। তাই প্রত্যেকটা টপিকের উপরে উপরে আলাদা আলাদা ইন ডেপ্থ ব্লগ পড়ে না। বা ডকুমেন্টেশন এর নিচের দিকে যে API এ আরো শত শত অপশন এবং প্যারামিটার দেয়া আছে সেগুলা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে না।
.
৬. অনেক টিউটোরিয়াল এ শুধু প্রজেক্ট দিয়ে শেখানোর দিকে ফোকাস করা হয়। সেখানে ফান্ডামেন্টালস বা বেসিক নলেজ এর দিকে গুরুত্ব দেয়া হয় না। আবার অনেক লার্নিং প্লাটফর্ম এ বেসিক কনসেপ্টগুলো ভাসা ভাসাভাবে কভার করলেও সেগুলা নিয়ে সিরিয়াস এসেসমেন্ট, এসাইনমেন্ট, মার্কস বা পরীক্ষা থাকে না। তাই পোলাপান বেসিক বা ফান্ডামেন্টাল জিনিসগুলো শেখার জন্য কোন ঠ্যাকা থাকে না। ফলে বেসিকের জন্য এফোর্ট না দিয়েই সামনে এগিয়ে যায়।
.
৭. অনেকেই নিজেকে বিদ্যারসাগর মনে করে। আর ভাবে একবার বেসিক জিনিসগুলো শিখলেই বেসিক ফকফকা হয়ে গেলো। সেগুলা রিভিশন বা রিক্যাপ দেয়ার কোন দরকার নাই। এই কারণে কেউ কেউ ফান্ডামেন্টাল জিনিসগুলো একবার শিখলেও পরবর্তীতে কাজে লাগানোর সময় কিংবা ইন্টারভিউতে গিয়ে বলতে পারে না।
.
৮. একইভাবে যারা এফোর্ট দিচ্ছে তারা একটা জায়গা বা একটা টিউটোরিয়াল এর পিছনে পড়ে থাকলে তাদের লার্নিং পোক্ত হবে না। বরং মাঝে মধ্যে সেইম টপিক বিভিন্ন জায়গা থেকে শিখতে হবে। বিভিন্ন এঙ্গেলে দেখতে হবে। হয়তো কখনো অন্য ভিডিও দেখে। কখনো অন্য কোন ব্লগ বা ডকুমেন্টেশন পড়ে অন্য পার্সপেক্টিভগুলো দেখতে হবে।
৯. অনেক সময় ইউটিউবে বা টিউটোরিয়াল দেখে ঠিকই কিন্তু এনাফ প্রাকটিস করে না। কিংবা ভিডিওতে টিচার হয়তো কোড দেখে দেখে এক্সপ্লেইন করতেছে আর শিক্ষার্থীরাও দেখে ভাবতেছে — আরে, ইজি ই তো। ঠিকই তো আছে। বুঝেই তো ফেলেছি। কিন্তু বার বার ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে প্রাকটিস করে না। পরে বিশাল ধরা খায়।

কম্পলিট ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স

কোর্স আউটলাইনে যা যা পাচ্ছেন:

  • ফুল কোর্স ৫-৬ মাসের কোর্স ও ১৩ টি এসাইনমেন্ট।
  • ৮০+ আপডেটেড মডিউল।
  • দিনে ৩ বেলা লাইভ সাপোর্ট সেশন
  • কোর্স শেষে জবপ্লেসমেন্ট সাপোর্ট ও ইন্টারভিউ গাইডলাইন

সম্পূর্ণ কোর্সটি দেখুনhttps://www.youtube.com/watch?v=dt6JovIFuiY

তুমি যদি একজন প্রোগ্রামার হিসেবে তোমার বেসিক নলেজকে পোক্ত করতে চাও, তাহলে ডিসেম্বর ২৪ তারিখ এর মধ্যে web . programming-hero . com তে প্রোগ্রামিং হিরো এর “নয়া নবম’ ব্যাচে ঝাঁপিয়ে পড়ো। কারণ এই নয়া নবম ব্যাচে প্রোগ্রামিং হিরো স্টুডেন্টদের CSS, জাভাস্ক্রিপ্ট আর রিএক্ট এর ফান্ডামেন্টালস এবং বেসিক নলেজে স্ট্রং করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। সো নিচের স্টেপগুলো তুমি প্রোগ্রামিং হিরো এর নবম ব্যাচে যুক্ত হয়ে নিতে পারো অথবা নিজে নিজেও ট্রাই করতে পারো।
.
১. টেইলউইন্ড এ যাওয়ার আগে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কোর HTML, CSS এর জিনিসগুলো শিখতে হবে। বুঝতে হয়। একইভাবে রিএক্ট এ যাওয়ার আগে জাভাস্ক্রিপ্ট এর মিনিমাম দুই-তিন মাস সময় দিয়ে বেসিক জাভাস্ক্রিপ্ট পোক্ত করতে হবে। প্রাকটিস করতে হবে। যাচাই করতে হবে তুমি সঠিকভাবে বুঝতেছো কিনা। এপ্লাই করতে পারতেছো কিনা।
.
২. জাভাস্ক্রিপ্ট এ গেলে জাভাস্ক্রিপ্ট এর পাশাপাশি আগে শেখা HTML, CSS এর কনসেপ্টগুলো রিভিশন দিতে হবে। একইভাবে রিএক্ট এ গেলে আগের জাভাস্ক্রিপ্ট এর কোর কোর কনসেপ্টগুলো রিভিশন দিতে হবে। এপ্লাই করে দেখতে হবে। বা মাঝে মধ্যে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে যে– এই প্রজেক্টা শুধু ভ্যানিলা জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে করবো। করতে গেলে নাকানি চুবানি খাবে। তবে অনেক অনেক বেসিক জিনিস ফকফকা হয়ে যাবে।
.
৩. বেসিক জিনিসগুলো শেখার পাশাপাশি নিজের মতো লিখে রাখা বা নোটস নেয়া ইম্পরট্যান্ট। সেটা গুগল ডক, নোশন কিংবা হাতে লিখেও নোটস নিতে পারো।
.
৪. কোড কিভাবে কাজ করে সেটা বুঝার জন্য বাড়তি সময় দিতে হবে। চিন্তা করতে হবে। ভাবতে হবে। যে জিনিসটা যেভাবে দেখানো হয়েছে সেটা কেন সেভাবে করা হয়েছে সেটা নিয়ে থিংক করতে হবে। অন্যভাবে করলে কি হতো সেটা ভাবতে হবে। মাঝেমধ্যে অন্যভাবে করার ট্রাই করতে হবে। অন্যভাবে করতে গেলে কখনো কখনো কাজ হবে না। তখন সেটার কারণ খুঁজতে হবে। বুঝতে হবে। বুঝতে না পারলে কোন মেন্টরকে জিজ্ঞেস করতে হবে। আর কাউকে খুঁজে না পাইলে chatGPT কে জিজ্ঞেস করতে হবে।
.
৫. বেসিক জিনিসগুলা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ছোট ছোট প্রোগ্রামিংয়ের প্রব্লেমে বা ছোট ছোট টাস্ক দিয়ে এপ্লাই করে বুঝার চেষ্টা করতে হবে।
.
৬. একটা শব্দও কপি পেষ্ট করতে পারবে না। বুঝার জন্য chatGPT বা AI ইউজ করবে। একশবার ইউজ করবে। কিন্তু কোড করার সময় বা কোন প্রব্লেম সল্ভ করার সময় একটা লাইনও কোড জেনারেট করবে না। একটা শব্দও কপি পেষ্ট করবে না।
.
৭. কোড ডিবাগ করে করে লাইন বাই লাইন বুঝার চেষ্টা করতে হবে। কি হচ্ছে কেন হচ্ছে সেটা ব্রেকপয়েন্ট দিয়ে, কনসোল করে বা watch করে দেখতে পারলে কোড ফিল করা অনেক ইজি হবে।
৮. প্রচুর প্রাকটিস করতে হবে। চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। নতুন কিছু। ডিফারেন্ট কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। সম্ভব হলে নিজের একটা পার্সোনাল প্রজেক্ট রাখতে পারো।
.
৯. শেখার মধ্যে গ্যাপ দেয়া যাবে না। কন্সিস্টেন্সি ধরে রাখতে হব।