ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী? ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখার ৩ টি উপায়।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী? ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখার ৩ টি উপায়।

ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট কী?

Description: বর্তমান সময়ে টেকনোলজি ফিল্ডে সবচেয় জনপ্রিয় পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। অনলাইন রেভুলেশানের যুগে ব্যবসায়িক প্রসারের জন্য ছোট ছোট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ, স্কুল , কলেজ, ইউনিভার্সিটি, এড-টেক সব ধরণের প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট একটি অন্যতম মাধ্যম। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ১৯ লাখে। এর বড় একটা অংশ বর্তমানে অনলাইন কেনাকাটায় অবস্থ্য আর এই সুযোগ টা নিতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়েবসাই ডেভেলপমেন্ট এর প্রতি বেশি আগ্রহী হচ্ছে যার ফলে বাড়ছে ওয়েবসাইটের সংখ্যা তার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওয়েব ডেভেলোপারদের চাহিদা। দেশে বিদেশে রিমোট বা অনসাইট সব জায়গায় ওয়েব ডেভেলোপারদের জবের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। যার ফলে অনেকেই এই সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহি হচ্ছে কিন্তু তারা সঠিক গাইডলাইন ও সাপোর্টের জন্য এই সেক্টরে সফল হতে পাড়ছে না। 

আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয়:

ওয়েব সাইট কি?

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী?

একজন ওয়েব ডেভেলপার কী করে?

বর্তমান AI এর যুগে ওযেব ডেভেলপমেন্টের চাহিদা কেমন?

ওয়েব ডেভেলোপার হিসেবে জব কোথায় পাবো?

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কীভাবে শিখবো?

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে কিছু কমন প্রশ্ন ও উত্তর

ক্যারিয়ারে কীভাবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাবো?

ওয়েব সাইট কি?

ওয়েব সাইট হল ইন্টারনেটে সংযুক্ত একটি ডিজিটাল স্থান বা পৃষ্ঠা যা সাধারণত একটি ডোমেইনের মধ্যে অবস্থিত থাকে এবং ব্যবহারকারীদের প্রযুক্তিগত ইন্টারফেসের মাধ্যমে তথ্য প্রদান করে। এটি অনেক সময় ওয়েবসাইট, ওয়েবপেজ, ব্লগ, অনলাইন শপ, ফোরাম, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সহ বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট উপস্থাপনা যেমন স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট, ডায়নামিক ওয়েবসাইট, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি হতে পারে।

একটি সাধারণ ওয়েব সাইটে আমরা প্রায় প্রতিটি ধরনের তথ্য পাওয়ার ক্ষমতা রাখি, যেমন পাঠ, ছবি, ভিডিও, অডিও, লিঙ্ক, ফর্ম, এবং আরও অনেক কিছু। একটি ওয়েব সাইট ব্রাউজার নামক একটি সফটওয়্যার দ্বারা অ্যাক্সেস করা যায়, যেটি ব্যবহারকারীদের ওয়েব পৃষ্ঠাগুলি দেখতে সাহায্য করে। উদাহারণস্বরূপ, “www.programming-hero.com” হল একটি ওয়েব সাইটের উদাহরণ, যেখানে “www” হল প্রোটোকল, “programming-hero’” হল ওয়েবসাইটের নাম, এবং “.com” হল টপ-লেভেল ডোমেইন। এই সাইটে ব্যবহারকারীরা প্রোডাক্ট তথা তথ্য কেনা, বিক্রি করা, তথ্য অনুসন্ধান করা, বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করা ইত্যাদি করতে পারেন।

ওয়েব সাইট কি?

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী?

ওয়েব ডেভলপমেন্ট হ’ল ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন তৈরির প্রক্রিয়া, 

আসুন আরও বিস্তারিতভাবে এই স্তরগুলির প্রত্যেকটি একবার দেখে আসিঃ

Client-side বা ফ্রন্টএন্ড ডেভলপমেন্ট

ক্লায়েন্ট-সাইড স্ক্রিপ্টিং, বা ফ্রন্টএন্ড ডেভলপমেন্ট, শেষ ব্যবহারকারী প্রত্যক্ষভাবে অভিজ্ঞতার সাথে বোঝায়। ক্লায়েন্ট-সাইড কোডটি একটি ওয়েব ব্রাউজারে কার্যকর করা হয় এবং লোকেরা কোনও ওয়েবসাইট দেখার সময় তারা কী দেখে তা সরাসরি সম্পর্কিত। লেআউট, ফন্ট, রঙ, মেনু এবং পরিচিতি ফর্মগুলির মতো বিষয়গুলি সমস্তই সম্মুখভাগ দ্বারা চালিত।

Server-side বা ব্যাকএন্ড ডেভলপমেন্ট

ব্যাকএন্ড মূলত কোনও ওয়েবসাইটের সেই অংশ যা ব্যবহারকারী আসলে দেখেন না। এটি ডেটা সংরক্ষণ এবং সংগঠিত করার জন্য, এবং ক্লায়েন্ট-পক্ষের সমস্ত কিছু সুচারুভাবে চলমান তা নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। এটি সম্মুখভাগের সাথে যোগাযোগ করে এটি করে। যখনই ক্লায়েন্টের পাশে কিছু ঘটে — বলুন, কোনও ব্যবহারকারী একটি ফর্ম পূরণ করে — ব্রাউজারটি সার্ভার-সাইডে একটি অনুরোধ প্রেরণ করে। সার্ভার-সাইডটি ফ্রন্টএন্ড কোড আকারে প্রাসঙ্গিক তথ্যের সাথে “প্রতিক্রিয়া জানায়” যা ব্রাউজারটি তখন ব্যাখ্যা এবং প্রদর্শন করতে পারে।

Database technology

ওয়েবসাইট ফাংশনের জন্য প্রয়োজনীয় ফাইল এবং কনটেন্ট অন্বেষণ, গোছানো, এডিট করা এবং সেভ করা যেন সহজ হয় তা নিশ্চিত করে ডেটাবেজ। ডেটাবেজও সার্ভারের মধ্যেই রান করে, এবং বেশিরভাগ ওয়েবসাইটই একটি রিলেশনাল ডেটাবেজ সিস্টেম (RDBMS) ব্যবহার করে।

তবে নন-রিলেশনাল ডেটাবেজও ইদানীং বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে কারণ ম্যাসিভ এমাউন্টের ডেটা হলে এর ব্যবহার বেশি সুবিধাজনক। বড় ওয়েবসাইটগুলোর কাজে এর ব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে। 

একজন ওয়েব ডেভেলপার কী করে?

ওয়েব ডেভেলপারের কাজ হচ্ছে ওয়েবসাইটের তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করা। সে কাজ ইন-হাউজ বা ফ্রিল্যান্স যেকোনো ভাবেই হতে পারে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন অনুযায়ী। তার কাজের ধরন নির্ভর করে তিনি কি ফ্রন্ট-এন্ড নাকি ব্যাক-এন্ড নাকি ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার – তার উপর। ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার ফ্রন্ট-এন্ড এবং ব্যাক-এন্ড দু’টোর উপরই স্পেশালাইজ করেন।

ওয়েব ডেভেলপাররা তাদের ক্লায়েন্ট এবং ওয়েবসাইট ইউজার দু’দিকের প্রয়োজনের সামঞ্জস্য রেখে  একটি প্রোডাক্ট তৈরি করেন। সেখানে তারা স্টেকহোল্ডার, ক্লায়েন্ট এবং ডিজাইনারদের সাথে একসাথে কাজ করে— ওয়েবসাইটটির লুক, ফিল এবং ফাংশন কেমন হবে— সেই ভিশনকে বাস্তব রূপ দেন।

আবার, Web Development এর এক বিশাল অংশ জুড়ে আছে bug আইডেন্টিফাই এবং ফিক্স করা।  ডেভেলপ করার পাশাপাশি ওয়েবসাইট বা সিস্টেমকে সবসময় অপ্টিমাইজ এবং ইম্প্রুভ করাটাও ওয়েব ডেভেলপারের কাজ।

তাই ওয়েব ডেভেলপাররা হন খুবই দক্ষ প্রবলেম সল্ভারস, যারা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সমস্যার সময়োপযোগী সমাধান বের করে সিস্টেমকে সচল রাখেন। আর বলা বাহুল্য, তাদের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের উপরও দখল থাকতে হয় সবিশদ।

এই সবকিছু মাথায় রেখে এখন বিভিন্ন ধরনের ওয়েব ডেভেলপারদের নির্দিষ্ট কাজগুলোর উপর চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক।

  • ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপার কী করে?

ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের ফ্রন্ট-এন্ডের কোড করেন। অর্থাৎ তারা ব্যাক-এন্ডের ডেটাকে প্রতিদিনের ব্যবহারকারীদের জন্য সহজে বোধগম্য, দৃষ্টিনন্দন এবং ফাংশনাল করে  তোলেন। তারা ওয়েব ডিজাইনারদের দেয়া ডিজাইনকে এইচটিএমএল (HTML), সিএসএস (CSS) বা জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript)-এর যাদুতে বাস্তব রূপ দেন।

ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপাররা একটি ওয়েবসাইটের লে-আউট, তার ইন্টারেক্টিভ এবং নেভিগেশনাল এলিমেন্ট যেমন বাটনস, স্ক্রলবার, ইমেজ, অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন লিংক— এসবকিছু বাস্তবায়িত করেন। বিভিন্ন ব্রাউজার এবং ডিভাইসে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের যথাযথ প্রদর্শনও নিশ্চিত করেন ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার।

তারা ওয়েবসাইটগুলো এমনভাবে কোড করেন যাতে বিভিন্ন স্ক্রিন সাইজ এবং ডিভাইসের ধরণের সাথে সেগুলো এডাপ্টেবল হয়, ফলে ইউজাররাও সবখানে সন্তোষজনক এক্সপেরিয়েন্স পান।

এছাড়াও ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপাররা নিয়মিত ইউজেবিলিটি টেস্ট করা, ফ্রন্ট-এন্ডে কোনো bug দেখা দিলে তা ফিক্স করার কাজ করেন। এই সব কাজ করতে তারা SEO (Search Engine Optimization), Software Workflow Management — এগুলোও মাথায় রাখেন।

  • ব্যাকএন্ড ডেভেলপার কী কাজ করে? 

ব্যাক-এন্ড ডেভেলপার ফ্রন্ট-এন্ডকে সচল রাখার জন্য যে ইনফাস্ট্রাকচার দরকার তা তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন। এর মূলত তিনটি অংশ বলা যায়— সার্ভার, অ্যাপ্লিকেশন, ডেটাবেজ।

ব্যাক-এন্ড ডেভেলপারদের করা কোড সার্ভার অ্যাপ্লিকেশন আর ডাটাবেজের স্মুথ কমিউনিকেশন নিশ্চিত করে। এগুলো তারা কীভাবে করেন? প্রথমে সার্ভার-সাইড ল্যাংগুয়েজ যেমন পিএইচপি (PHP), জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript), পাইথন (Python) এবং জাভা (Java) দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন বিল্ড করেন।

এরপর বিভিন্ন ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট টুল যেমন মাইএসকিউএল (MySQL), ওরাকল (Oracle), মঙ্গোডিবি (MongoDB), পোস্টগ্রেস্কিউএল (PostgreSQL) দিয়ে ডেটা খোঁজা, এডিট ও সেভ করে ফ্রন্ট-এন্ডে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপারদের মতই ব্যাক-এন্ড ডেভেলপাররা ক্লায়েন্টদের সাথে মতবিনিময় করে তাদের প্রয়োজনগুলোকে মেটানোর জন্য কাজ করেন।

সাধারণত ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্ট টাস্কে থাকে ডেটাবেজ তৈরি, ইন্টিগ্রেট ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, ব্যাক-এন্ড ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে সার্ভার-সাইড সফটওয়্যার তৈরি, কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি ও ইমপ্লিমেন্ট, ওয়েব সার্ভার টেকনোলজি আর অপারেটিং সিস্টেমের সাথে যথাযথভাবে কাজ করা।

  • ফূলস্ট্যাক ডেভেলপার কী কাজ করে?

যিনি ব্যাক-এন্ড এবং ফ্রন্ট-এন্ড দুদিকেই কাজ করতে পারেন তিনিই ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপার। তারা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রসেসের সবগুলো ধাপেই দক্ষ, তাই তারা সম্পূর্ণ স্ট্রাটেজি তৈরি এবং খুঁটিনাটি কাজ করায় পারদর্শী।

ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপাররা সাধারণত ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন ভূমিকায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রাখেন। তাই তাদের সম্পূর্ণ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রসেসের উপরই একটি বিচক্ষণতা এবং দূরদর্শীতা থাকা জরুরি।

ফ্রন্ট-এন্ড এবং ব্যাক-এন্ড ল্যাংগুয়েজ এবং ফ্রেমওয়ার্কসহ বিভিন্ন সার্ভার, নেটওয়ার্ক এবং হোস্টিং এনভায়রনমেন্টে কাজ করতে তারা দক্ষ হয়ে থাকেন। বিজনেস নীড এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স সম্পর্কেও তাদের ভালো ধারণা থাকে।

কম্পলিট ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্সকোর্স আউটলাইনে যা যা পাচ্ছেন:ফুল কোর্স ৫-৬ মাসের কোর্স ও ১৩ টি এসাইনমেন্ট।৮০+ আপডেটেড মডিউল।দিনে ৩ বেলা লাইভ সাপোর্ট সেশনকোর্স শেষে জবপ্লেসমেন্ট সাপোর্ট ও ইন্টারভিউ গাইডলাইনVideo

বর্তমান AI এর যুগে ওযেব ডেভেলপমেন্টের চাহিদা কেমন?

আমরা কোনো কাজ করার আগে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। সেক্ষেত্রে আমি বলতে পারি,আপনি একজন দক্ষ ডেভেলপার হতে চাইলে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে ক্যারিয়্যার হিসাবে বেছে নিতে পারেন।বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা বেড়ে চলছে ।বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে প্রতি মিনিটে প্রায় ৫৭১ টি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। এই সংখ্যা দিনে দিনে আরো বাড়বে।কারণ যেকোনো কোম্পানি তার ব্যবসায় বাড়তি সুবিধা পাওয়ার জন্য একের অধিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রয়োজনবোধ করবে ফলে ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর কাজের চাহিদাও বাড়বে।শ্রম পরিসংখ্যান বুর‍্যের ( The Bureau of Labor Statistics projects) এর মতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কর্মসংস্থান গ্রো-আপ করছে ৩০.3% হারে।

আইটি কোম্পানি গুলো বর্তমানে ওয়েব স্ট্যাক বুঝে এমন  ওয়েব ডেভেলপারদের বেশি খুঁজে ।আপনি নিজেকে পারদর্শী ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে ,আপনি আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত সেইফ থাকতে পারবেন,এই আপডেটেড যুগে।  US ( The Bureau of Labor Statistics projects) ভবিষ্যতদ্বানী করেছে ২০২৯ সালের মধ্যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওয়েব ডেভেলপমেন্টদের ১৯,০০০ ডেভেলপারদের চাকরি হয়ে যাবে।

আচ্ছা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি ,এর কাজ কি অথবা এর সম্বন্ধে কি কি জানতে হবে,এর ক্যারিয়্যার অপরচুনিটি কেমন হবে এগুলো নিয়ে কিছু হলেও সাধারণ ধারণা পেয়েছি।পরিশেষে কিছু কোথায় আসতে পারি,ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত অথবা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট এর আধিক্য অপরিহার্য এর জন্য ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বর্তমান বিশ্বে একটি ডিমান্ডিং পেশা। এবং ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সহ একটি আশ্চর্যজনক ক্ষেত্র। তাই এই সেক্টরে আপনি অবিচ্ছিন্ন শিক্ষা,সমস্যা সমাধান এর প্রচুর সুযোগ পাবেন,প্রতিদিন অনেক কিছু শিখতে পারবেন।এবং নিঃসন্দেহে বলতে পারি আপনি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলোপার হিসাবে হালাল পথে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তাই দেরি কেন আজই পরিপূর্ণ  দক্ষ হয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জে নেমে পড়ুন। ইনশাআল্লাহ -সুদিন আসবেই।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কীভাবে শিখবো?

বর্তমানে ইন্টারনেটের কল্যাণে ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট শিখার প্রচুর রিসোর্স আছে। যার প্রোপার ইউটিলাইজেশন করতে পারলে ৫-৬ মাসের মধ্যেই একজন জুনিয়র ওয়েব ডেভেলোপার হওয়া সম্ভব । তাহলে চলুন যেনে নেই ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট শিখার তিনটি উপায়। 

  • ইউটিব থেকে শিখা: বর্তমান সময়ে এমন কোন স্কিল নেই যেটা ইউটিউব এর ভিডিও দেখে শিখা যায় না। ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট শিখার জন্য প্রচুর রিসোর্স ও টিউটোরিয়ার ইউটিউবে রয়েছে। একটা নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে প্রতিদিন যদি ৫-৭ ঘন্টা করে সময় দিতে পারলে ৬-৭ মাসের মধ্যে জুনিয়র ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হওয়া সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অনেকেই নিজে নিজে গাইডেড হয়ে ৫-৬ মাস একটানা কোডিং করা সম্ভব হয় না। এবং ইউটিউবে প্রচুর কন্টেন্টের ভিরে নিজেকে হারিয়ে ফেলছেন যার ফলে নিজের গ্রোথ একটা সার্কেলেই আটকে যায়। 
  • ইন্সটিটিউট থেকে শিখা : যারা ফ্রি রিসোর্স ব্যবহার করে শিখতে পারে না বার বার ডিসট্র্যাক হয়ে হয়ে যায় তাদের একটা সমাধান হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতা নিয়ে শিখা। তবে এখানেও সমস্যা হচ্ছে কোয়ালিটি কনটেন্ট , সাপোর্ট সিস্টেম, জব প্লেসমেন্ট এর সুবিধা, এবং পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সাপোর্ট প্রধান করা এইসব সকল প্রতিষ্ঠান দিতে পারেন না। যার ফলে টাকা দিয়ে কোর্স করেও তারা ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট শিখতে পারছে না। আপনি যদি ডেডিকেটেট থাকেন এবং নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে প্রতিজ্ঞাবধ্য থাকেন তাহলে আপনি প্রোগ্রামি হিরো এর কমপ্লিট ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। যেখানে আপনাকে ক্রেজি লেভেলের সাপোর্ট দেয়া হবে। ৫-৬ মাস ৫-৭ ঘন্টা সময় দিলে পারলে নিজেকে একজন জব রেডি জুনিয়র ওয়েবডেভেলপার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। এবং কোর্সে ভালো করলে পাবেন জব প্লেসমেন্ট এর সুবিধা। প্রোগ্রামিং হিরো থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫০০+ শিক্ষার্থী দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোম্পানিগুলোতে  জব/ইন্টার্নশীপ পেয়েঝেন। 
  • বই ও ডুকুমেন্ট থেকে শিখা: আরো একটি উপায় হতে পারে বই বা বিভিন্ন বল্গ বা ডকুমেন্ট থেকে শিখার চেষ্টা করা। বর্তমানে W3 school এর মতো অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে ফ্রি ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট শিখা যায়। এবং জনপ্রিয় অনেক লেখক আছেন যারা প্রোগ্রামিং বিষয়ক বিভিন্ন বই লিখেছেন যেটা পড়েও আপনি শিখতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার ডেডিকেশন, হার্ড ওয়ার্ক করার মানসিকতা ও ফোকাস ম্যাটার করবে। যদি ডিসট্র্যাক হয়ে যান তাহলে কিছুই শিখতে পারবেন না। 
কম্পলিট ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্সকোর্স আউটলাইনে যা যা পাচ্ছেন:ফুল কোর্স ৫-৬ মাসের কোর্স ও ১৩ টি এসাইনমেন্ট।৮০+ আপডেটেড মডিউল।দিনে ৩ বেলা লাইভ সাপোর্ট সেশনকোর্স শেষে জবপ্লেসমেন্ট সাপোর্ট ও ইন্টারভিউ গাইডলাইনVideo

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে কিছু কমন প্রশ্ন ও উত্তর

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে কত সময় প্রয়োজন?

প্রতিদিন নিয়মিত ৫-৭ ঘন্টা সময় দিতে পারলে ৫-৬ মাস সময় লাগতে পারে জুনিয়র লেভেলের ওয়েব ডেভেলপার হতে।

ওয়েব ডেভেলপার হয়ে কী কী কাজ করা যায়। 

ছোট বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন। তাছাড়া প্রোর্টফোলিও  ওয়েবসাই, ব্লগ ওয়েবসাইট, ব্যাংক এর ওয়েব এপ্লিকেশন থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটির জন্য তৈরী করার কাজ করতে পারবেন। 

ওয়েব ডেভেলপাররা কোথায় চাকরি করতে পারে?

ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে সফ্টওয়্যার কোম্পানিতে জব করতে পারবেন। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে রিমোট জব করতে পারবেন। তাছাড়া ফ্রিল্যান্সার হিসেবেও কাজ করতে পারেন।

কোথা থেকে ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট শিখবো?

ইউটিউব, বই, ডকুমেন্ট বা যেকোন ইন্সটিটিউড থেকে শিখতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রোগ্রামিং হিরো হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ।

ওয়েব ডেভেলোপার হিসেবে জব কোথায় পাবো?

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের পরিধি অনেক বড় যার ফলে এই সেক্টরে জবে সুযোগও বেশি। চলুন এমন কিছু জব প্লেস নিয়ে কথা বলা যাক। 

  • সফটওয়্যার কোম্পানি: বৃহত্তর সফটওয়্যার কোম্পানিতে ওয়েব ডেভেলপার চাহিয়ে থাকে। এই ধরনের কোম্পানিগুলোতে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়েব সাইট ডেভেলপমেন্টের জন্য বিভিন্ন পদে ওয়েব ডেভেলপারদের নিয়ে থাকে।
  •  ডিজাইন ফার্ম: বিভিন্ন ডিজাইন ফার্ম আছেন যারা ডিজাইন নিয়ে কাজ করে এবং তাদের ডিজাইন কে ডেভেলপ করার জন্য ওয়েব ডেভেলপারদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে এই কোম্পানিগুলোতে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
  • .ফ্রিল্যান্সিং: বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। ডেভেলপাররা নিজেদের বাসা বা অফিসে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছোট,বড় কোম্পানির জন্য ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট সার্ভিস দিয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য জনপ্রিয় কিছু মার্কেট প্লেস হলো : Fiverr, Upwork, People Per Hour, Freelancer.com।
  •  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় , কলেজ এবং স্কুল বয়েছে যারা দিন দিন নিজের ক্লাস ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সফ্টওয়ার তৈরী করছে এবং ওয়েব সাইট ডেভেলাপ করছে তো একজন ডেভেলোপার হিসেবে এই দিকেও জবের সম্ভাবনা রয়েছে। 
  • রিমোট জব: বর্তমানে কোম্পানিগুলো নিজেদে কাজের পরিধি বাড়াতে এবং ইন্টারনাল খরচ কমাতে অনেক রিমোট ওয়ার্কার হায়ার করছে যার ফলে দিন দিন রিমোট জবের পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে এর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। ‍রিমোট জব পাওয়ার জন্য কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে, Social Media, Linkedin, We Work remotely, Bdjobs, SkillJobs 

ক্যারিয়ারে কীভাবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাবো?

ক্যারিয়ারের নিজেকে এগিয়ে রাখতে হলে আপনাকে গ্রোথ মাইনসেট রাখতে হবে, একটা স্কিল শিখেছেন তো আজাীবন এই স্কিল দিয়ে কাজ চালিয়ে নিবেন এই চিন্তা না করে প্রতিনিয়ত আপডেটেড থাকুন এবং নিজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করুন। লক্ষ্য পুরণের জন্য আপনার ডেডিকেশন ও হার্ড ওয়ার্ক ম্যাটার করবে। 

  • লক্ষ্য সেট করুন:  প্রথমেই আপনার কী লক্ষ্য এবং প্রাথমিক লক্ষ্য কী হবে তা নির্ধারণ করুন। এরপরে আপনি যে ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন তা নির্ধারণ করুন। নিজেকে সবসময় গাইডেড পরিবেশে রেখে নিজের লক্ষ পুরণের জন্য কাজ করতে থাকুন
  • দক্ষতা উন্নত করুন: আপনার লক্ষ্যে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জন করুন। আপনি যে কোনও বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তা হতে পারে প্রোগ্রামিং, ডিজাইন, ব্যবসায়িক দক্ষতা ইত্যাদি। একটা দক্ষতা  অর্জন করেছেন তো সারা জীবন এইটা দিয়ে জীবন চালাবেন তা হবে না। আপনাকে প্রতিনিয়ত নিজেকে আপগ্রেড করতে হবে।
  • প্রোডাকটিভ থাকা: আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রতিদিন করনীয় সেট করুন এবং প্রতিদিন এই প্রতিটি করনীয় পরিপালন করুন। এটি আপনাকে আপনার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
  • নেটওয়ার্ক তৈরি করুন: আপনার উন্নত করিয়ারের জন্য নেটওয়ার্ক তৈরি করুন। অন্যান্য পেশাদারদের সাথে সম্পর্ক করুন, মেন্টর অনুসন্ধান করুন এবং একাধিক সেমিনার, কনফারেন্স ইত্যাদি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করুন।
  • আত্ম-উন্নতি করুন: নিজেকে নিরাপদ ও উন্নত করার জন্য আত্ম-উন্নতি করুন। এটি আপনার সাফল্যের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের আগামীতে আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ, প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন, নিয়মিত প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং নেটওয়ার্ক তৈরি করলে আপনি আপনার ক্যারিয়ারে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

পরিশেষে: 

আপনি যদি স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট আপনার জন্য একটি ভালো ক্যারিয়ার অপশন হতে পারে। AI বা এর ভবিষৎ নিয়ে এতো চিন্তিত না হয়ে শিখা শুরু করে দিন। ডেডেকেটেড থাকুন নিজের প্রতি প্রতিজ্ঞাবধ্য হয়ে প্রতিদিন নিয়মিত নিজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করুন তাহলে ৫-৬ মাসের মধ্যে নিজেকে একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবেন।